মুশরিক কাকে বলে।
বর্তমান সময়ে ভারতবর্ষের মধ্যে হিন্দুদেরকে মুশরিক বানানো হয়েছে। কিন্ত আল্লাহর কিতাব কুরআন থেকে দেখলে বুঝা যাই যে হিন্দুরা মুশরিক নয়। কুরআনে হিন্দুদেরকে সাবিয়ী বলা হয়েছে, যারা বিভিন্ন দেব দেবীর পূজা করে তাদেরকে সাবিয়ী বলা হয়। নীচের আয়াতটি দেখুন সাবিয়ী ও মুশরিকদের জন্য কি বলা হয়েছে।
২২-১৭) নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং যারা ইয়াহূদী হয়েছে, যারা সাবিঈ, খৃস্টান ও অগ্নিপূজক এবং যারা মুশরিক হয়েছে- কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ সব কিছুই সম্যক প্রত্যক্ষকারী।
এই আয়াতে সাবিঈ ও মুশরিক দুটি শব্দ আলাদা ব্যাবহার হয়েছে। তাই এই আয়াত থেকে পরিষ্কার বুঝাজায় যে সাবিঈ ও মুশরিক দুটি ভিন্ন সম্প্রদায় বা দল। আসুন নীচের আয়াত থেকে মুশরিক কারা বুঝার চেষ্টা করি।
৯-১৭) মুশরিকদের অধিকার নেই যে, তারা আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, নিজদের উপর কুফরীর সাক্ষ্য দেয়া অবস্থায়। এদেরই আমলসমূহ বরবাদ হয়েছে এবং আগুনেই তারা স্থায়ী হবে।
এই আয়াতে আমরা পরিষ্কার বুঝতে পারছি যে মুশরিকরা আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করছে, নিজদের উপর কুফরীর সাক্ষ্য দেয়া অবস্থায়। অর্থাৎ মুসলিমদের মধ্যে মুশরিকরা অবস্থান করছে, ও তারা মসজিদসমূহ আবাদ করছে।
উপরের আয়াতে আল্লাহ্ মুশরিকদেরকে চিহ্নিত করার জন্য একটি পরিচয় দিয়েছেন। যে, তারা আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, নিজদের উপর কুফরীর সাক্ষ্য দেয়া অবস্থায়।
কুফরি কাকে বলে, যখন কোন মুসলিম কুরআনের একটি আয়াত অস্বীকার করে তখন তার ওই অস্বীকার করাকে কুফরি করা বলা হয়। কোন মুসলিম একের পর এক আয়াতকে অস্বীকার করবে তখন ওই মুসলিম অস্বীকার কারী বলে গণ্য হবে। অর্থাৎ ওই মুসলিম কাফের বলে গণ্য হবে।
মুশরিকদের পরিচয়।
মুশরিকদের অধিকার নেই যে, তারা আল্লাহর মসজিদসমূহ আবাদ করবে, নিজদের উপর কুফরীর সাক্ষ্য দেয়া অবস্থায়।
কুফরীর সাক্ষ্য দেয়া অবস্থায় অর্থাৎ কুরআনের আয়াতের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়া অবস্থায়। আর এই কাজ গুলো মসজিদসমূহর মধ্যে হচ্ছে। যেমন মসজিদের মধ্যে এক শ্রেণীর আলেম বক্তবের মধ্যে বলে যে হিন্দুরা মুশরিক কারণ ওরা আল্লাহর সঙ্গে শরিক করে। এই কথাটি উপরের আয়াতের বিরুদ্ধে কারণ হিন্দুদেরকে সাবিঈ বলা হয়েছে। তাই কুরআনের আয়াতের বিরুদ্ধে যে মুসলিম কথা বলে সেই মুশরিক।
যে সকল মুসলিম আল্লাহর কিতাব আল-কুরআনের সঙ্গে অনন্য কিতাবকে শরিক করে তারাই মুশরিক।
কুরআন থেকে আরও পড়ুন।