কুরআনের মধ্যে আল্লাহ্ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস।
নীচের আয়াত গুলির মধ্যে আরবিতে হাদিস এর বাংলা অর্থ হাদিস লিখা হয়েছে, এতে বুঝতে সুবিধা হবে।
৩৯-২৩ আল্লাহ নাযিল করেছেন উত্তম হাদিস, সাদৃশ্যপূর্ণ একটি কিতাব (আল কুরআন), যা বারবার আবৃত্তি করা হয়। যারা তাদের রবকে ভয় করে, তাদের গা এতে শিহরিত হয়, তারপর তাদের দেহ ও মন আল্লাহর স্মরণে বিনম্র হয়ে যায়। এটা আল্লাহর হিদায়াত, তিনি যাকে চান তাকে এর দ্বারা হিদায়াত করেন। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন, তার জন্য কোন হিদায়াতকারী নেই।
৭৯:১৫ মূসার হাদিস তোমার কাছে পৌঁছেছে কি? (এর পর কুরআনেই মুসার হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে।)
৫১:২৪ তোমার কাছে কি ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের হাদিস এসেছে? (এর পর কুরআনেই ইবরাহীমের সম্মানিত মেহমানদের হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে।)
৮৮:১ আচ্ছন্নকারী কিয়ামাতের হাদিস তোমার কাছে পৌঁছেছে কি? (এর পর কুরআনেই আচ্ছন্নকারী কিয়ামাতের হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে।)
১২:১১১ (ইউসুফ এর হাদিস (কাহিনী) বর্ণনা করার পর কুরআনে এই কথাটি বলা হয়েছে) তাদের এ কাহিনীগুলোতে অবশ্যই বুদ্ধিমানদের জন্য রয়েছে শিক্ষা, এটা কোন বানানো হাদিস নয়, বরং তাদের পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ। আর হিদায়াত ও রহমত ঐ কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।
৫৬-৮১ তবুও কি তোমরা এ হাদিসকে (কুরআনকে) তুচ্ছ মনে করছ?
৫৩-৫৯ তোমরা কি এ হাদিসে (কুরআনে) বিস্মিত হচ্ছ?
৩১-৬.৭ আর মানুষের মধ্য থেকে কেউ কেউ না জেনে আল্লাহর পথ থেকে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য বেহুদা হাদিস (হাদিস গ্রন্থ) খরিদ করে, আর তারা ঐগুলোকে হাসি-ঠাট্টা হিসেবে গ্রহণ করে; তাদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাকর আযাব। আর তার কাছে যখন আমার আয়াতসমূহ পাঠ করা হয় তখন সে দম্ভভরে মুখ ফিরিয়ে নেয়, যেন সে শুনতে পায়নি, তার দু’কানে যেন বধিরতা; সুতরাং তাকে যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও।
৫২-৩৩.৩৪ তারা কি বলে, ‘সে এটা বানিয়ে বলছে?’ বরং তারা ঈমান আনে না। অতএব, তারা যদি সত্যবাদী হয় তবে তার অনুরূপ হাদিস (কুরআন) নিয়ে আসুক।
৬৮-৪৪ অতএব ছেড়ে দাও আমাকে এবং যারা এ হাদিস (কুরআন) প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে। আমি তাদেরকে ধীরে ধীরে এমনভাবে পাকড়াও করব যে, তারা জানতে পারবে না।
৪৫-৬.৭.৮.৯.১০.১১ এগুলো আল্লাহর আয়াত, আমি তা যথাযথভাবেই তোমার কাছে তিলাওয়াত করছি। অতএব তারা আল্লাহ ও তাঁর আয়াতের পর আর কোন্ হাদিসে (হাদিস গ্রন্থে) বিশ্বাস করবে? দুর্ভোগ প্রত্যেক চরম মিথ্যুক পাপাচারীর জন্য!সে শোনে আল্লাহর আয়াতসমূহ যা তার সামনে তিলাওয়াত করা হচ্ছে, তারপর সে ঔদ্ধত্যের সাথে অবিচল থাকে, যেন সে তা শুনতে পায়নি।
অতএব তুমি তাকে এক যন্ত্রণাদায়ক আযাবের সুসংবাদ দাও। আর যখন সে আমার আয়াতসমূহের কিছু জানতে পারে, তখন সে এটাকে পরিহাসের পাত্ররূপে গ্রহণ করে। এদের জন্য রয়েছে লাঞ্ছনাদায়ক আযাব। তাদের সামনে রয়েছে জাহান্নাম।
তারা যা উপার্জন করেছে অথবা আল্লাহর পরিবর্তে তারা যাদের অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করেছে, এসব তাদের কোন কাজে আসবে না। তাদের জন্য রয়েছে মহাআযাব। এই (কুরআন) হিদায়াত দানকারী। আর যারা তাদের রবের আয়াতসমূহের সাথে কুফরী করে তাদের জন্য রয়েছে অতিশয় যন্ত্রণাদায়ক আযাব।