ড্রাগ এর অপব্যাবহার কাকে বলে।
বাল্যকাল ও যৌবনের মাঝামাঝি অবস্থাকে বয়ঃসন্ধি (adolescence) বা কিশোরকাল বলে। এই সময়ে দেহ ও মনের দ্রুত বৃদ্ধি ঘটতে থাকে। এই সময়ে মানসিক চাহিদার দ্রুত বৃদ্ধি বিকাশ ঘটে।
তাদের চাহিদা পূরণ না হলে তারা বিমর্ষ হয়ে পড়ে, হতাশায় ভোগে, সহজেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই সময় এদের বিভিন্ন বদভ্যাস গড়ে ওঠে। নেশা-ভাং করে, খারাপ যৌন সংসর্গে পড়ে।
এদের সঠিক চিকিৎসা না হলে বা তাদেরকে উন্নয়নমূলক কাজে অংশ গ্রহণ করাতে না পারলে তারা বিপথে চালিত হয়। এর থেকেই কিছু সংখ্যক কিশোর-কিশোরীরা ড্রাগ ও মদে আসক্ত হয়ে পড়ে।
ড্রাগের অপব্যাবহার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ড্রাগের একটি সংজ্ঞা দিয়েছে। এই সংজ্ঞায় বলা হয়, ড্রাগ হল এমন সব পদার্থ যা জীবিত প্রাণী গ্রহণ করলে তার এক বা একাধিক স্বাভাবিক ক্রিয়ার পরিবর্তন আসে (Drug is defined as any substance, that when taken into the living organism, may modify one or more of its function)।
ড্রাগকে সাধারণ ভাষায় মাদক বলা যায়। রোগের চিকিৎসার পরিবর্তে যখন এই পদার্থগুলি মানুষ নিজে নিজেই অতিমাত্রায় বা ঘনঘন সেবন করে তখন তাকে বলে ড্রাগের অপব্যবহার বা ড্রাগ অ্যাবিউজ (Drug abuse)।
ড্রাগের অপব্যবহার থেকে ড্রাগের ওপর আসক্তি জন্মে, তখন মানুষ ড্রাগ ছাড়তে পারে না। শুধু তাই নয়, অনেকক্ষেত্রে ড্রাগ না নিলে সে অস্বস্তিকর সমস্যায় পড়ে। এমনকি উত্তরোত্তর ড্রাগ সেবনের পরিমাণও বাড়ে।
এই দৃষ্টিভঙ্গিতে ড্রাগের আসক্তির একটি সংজ্ঞাও দেওয়া যায়। ক্রমাগত মাদকদ্রব্য সেবনের জন্য যখন এমন অবস্থা তৈরি হয় যে মাদকদ্রব্যের ওপর মানুষের দৈহিক ও মানসিক নির্ভরতা গড়ে ওঠে ও মানুষ বাধ্যতামূলক মাদক সেবন ছাড়া নানা সমস্যায় পড়ে, তখন তাকে বলে মাদকাসক্তি বা ড্রাগ নির্ভরতা (Drug dependents)।
কতকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ড্রাগ যাদের ওপর মানুষের আসক্তি তৈরি হয় তা হল আফিম ও আফিমজাত পদার্থ, পেথিডিন, হেরোইন, মদ (অ্যালকোহল), বারবিচুরেট, কোকেন, ভাং, এলএসডি (LSD), বেঞোডিয়াজিপাইন, বুফ্রেনোফইন, ডেক্সট্রোপ্রোপোক্সিফেন ও অ্যাম্ফেটামাইন। এদের মধ্যে হেরোইন হল সবচেয়ে মারাত্মক।
আরও পড়ুন।