ইহুদি ধর্ম | ইহুদি জাতীর ইতিহাস | ইসরাইলের ইতিহাস।
পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন ধর্ম হল ইহুদি ধর্ম। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী হজরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর পুত্র হজরত ইসহাক (আঃ) থেকে বলা যায় এই ধর্মের সূচনা। দুনিয়ার প্রায় প্রতিটি জনবসতি অঞ্চলে ইহুদি জনগোষ্ঠীর লোকদের বসবাস আছে।
অবশ্য বর্তমানে তাদের ইসরাইল নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র আছে, সামরিক শক্তিতে সমৃদ্ধ ইসরাইল জাতিসংঘের সদস্যপদ প্রাপ্ত হয়েছে বেশ কয়েক দশক পূর্বে।
সবকিছু বিবেচনা করে একথা বলা বোধ হয় অত্যক্তি হবে না যে ইসরাইলকে বাদ দিয়ে বর্তমান বিশ্বের ধর্ম ও ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের আলোচনা পূর্ণতা পাবে না।
ইহুদি শব্দের বিশ্লেষণ ও উৎপত্তি।
ইহুদি শব্দের বিশ্লেষণ ও উৎপত্তি সম্পর্কে একাধিক মত পাওয়া যায়। তন্মধ্যে সবিশেষ উল্লেখযোগ্য দুটি মত হল—
(১) অনেকের মতে ইয়াহুদ বা ইহুদি শব্দটি আরবি হুদ শব্দ থেকে এসেছে। যার অর্থ হল তওবা করা এবং অনুশোচনা করা। যেহেতু বনী ইসরাইলরা হজরত মূসা (আঃ)-র অবর্তমানে বাছুর পূজা করার জন্য তওবা করেছিল তাই তাদেরকে ইহুদি বা তওবাকারী হিসাবে অভিহিত করা হয়েছে।
(২) এই সংক্রান্ত দ্বিতীয় মতটি সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য। তা হল—হজরত ইয়াকুব (আঃ)-র চতুর্থ পুত্রের নাম ছিল ইয়াহুজ, যাঁকে বনী ইসরাইলরা অসম্ভব শ্রদ্ধা করতো। তারই নাম অনুসারে শব্দের পরিবর্তন ঘটে বনী ইসরাইলদের নাম ইয়াহুজ থেকে ইয়াহুদি বা ইহুদি হয়ে যায়।
ইহুদি বা বনী ইসরাইলদের সূচনা।
ইহুদিদের নাম বনী ইসরাইল হল কি করে— এই প্রশ্নের উত্তরে ঐতিহাসিক তথ্যে পাওয়া যায় যে, বনী ইসরাইলদের আদি পুরুষ হলেন হজরত ইয়াকূব (আঃ)। যিনি হজরত ইসহাক (আঃ)-এর পুত্র ছিলেন।
এই হিসাবে হজরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর পৌত্র হলেন হজরত ইয়াকুব (আঃ)। যা হোক এই ইয়াকূব (আঃ)-এর উপাধি ছিল ইসরাইল বা আল্লাহর বান্দা।
এই উপাধি অনুসারে তার বংশধরদের বনী ইসরাইল বলা হয়। কাজেই বর্তমানে যারা ইহুদি হিসাবে পরিচিত তাদের দুটি নামে ডাকা হয়—বনী ইসরাইল এবং ইহুদি।
আরও পড়ুন।
- ইহুদি ধর্ম।
- হজরত মুসা (আঃ) নবীর জীবন কাহিনী।
- হজরত মুসা (আঃ) এর বাল্যকাল।
- হজরত মুসা (আঃ) এর দেশত্যাগ।
- হযরত মুসা (আঃ) এর লাঠির মুজিজা।
- ফেরাউনের দরবারে মুসা (আঃ)।
- মুসা (আঃ) এর দেশত্যাগ ও ফেরাউনের মৃত্যু।
- ফেরাউনের মৃত্যুর পরের ঘটনা।
- তৌরাত অবতীর্ণ হওয়ার ঘটনা।
- হজরত মুসা (আঃ) নবীর মৃত্যু।
- ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ সমূহ।