সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াতের বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ সহ তাফসীর | সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াতের বাংলা উচ্চারণ সহ PDF Download.
সূরা আল-মায়িদাহ কোরআন মাজিদের ৫ নম্বার সূরা। এই সূরার মোট আয়াত সংখ্যা ১২০ টি। সূরা আল-মায়িদাহ এর বাংলা অর্থ- খাদ্য পরিবেশিত টেবিল। সূরা আল-মায়িদাহ মাদীনায় অবতীর্ণ হয়েছে।
নীচে সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াতের আরবী, বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ দেওয়া হয়েছে। ও এর সঙ্গে সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াত এর আরবী, বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ সহ PDF Download করার লিংক দেওয়া আছে।
সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াত আরবী।
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ مَن يَرْتَدَّ مِنكُمْ عَن دِينِهِۦ فَسَوْفَ يَأْتِى ٱللَّهُ بِقَوْمٍ يُحِبُّهُمْ وَيُحِبُّونَهُۥٓ أَذِلَّةٍ عَلَى ٱلْمُؤْمِنِينَ أَعِزَّةٍ عَلَى ٱلْكَٰفِرِينَ يُجَٰهِدُونَ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ وَلَا يَخَافُونَ لَوْمَةَ لَآئِمٍ ذَٰلِكَ فَضْلُ ٱللَّهِ يُؤْتِيهِ مَن يَشَآءُ وَٱللَّهُ وَٰسِعٌ عَلِيمٌ
সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াতের বাংলা উচ্চারণ।
ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূ মাইঁ ইয়ারতাদ্দা মিনকুম ‘আন দীনিহী ফাছাওফা ইয়া‘তিল্লা-হু বিকাওমিইঁ ইউহিব্বুহুম ওয়া ইউহিববূনাহূ আযিল্লাতিন ‘আলাল মু’মিনীনা আ‘ইঝঝাতিন ‘আলাল কা-ফিরীনা ইউজা-হিদূ না ফী ছাবীলিল্লা-হি ওয়ালা ইয়াখা-ফূনা লাওমাতা লাইমিন যা-লিকা ফাদলুল্লা-হি ইউ’তীহি মাইঁ ইয়াশাউ ওয়াল্লা-হু ওয়া-ছি‘উন ‘আলীম।
সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াতের বাংলা অনুবাদ।
হে মুমিনগণ, তোমাদের মধ্যে যে স্বীয় ধর্ম থেকে ফিরে যাবে, অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে।
তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী।
সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াতের PDF Download.
সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াতের আরবী, বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ ডাউনলোড করার জন্য নীচে লিংক দেওয়া হয়েছে। ওখান থেকে অতি সহজে সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াতের আরবী, বাংলা উচ্চারণ ও অনুবাদ সহ PDF Download করতে পারবেন।
এই আয়াত গুলো পড়ুন।
সূরা আল-মায়িদাহ ৫৪ নম্বর আয়াতের বাংলা তাফসীর।
১) আল্লাহ তাআলা নিজের ইলম মোতাবেক বলেছেন; যা নবী করীম (সাঃ)-এর মৃত্যুর পরপরই প্রকাশ পেয়েছিল। তা হচ্ছে, ইসলাম-ত্যাগের ফিতনা; আবু বাকর সিদ্দীক (রাঃ) ও তাঁর সঙ্গীদের নিরলস প্রচেষ্টায় যার সমাপ্তি ঘটেছিল।
২) ধর্ম-ত্যাগীদের পরিবর্তে আল্লাহ এমন এক কওমকে নির্বাচিত করবেন, যাদের চারটি স্পষ্ট গুণ বর্ণনা করা হয়েছে; (ক) আল্লাহর প্রতি ভালবাসা রাখা ও তাঁর ভালবাসার পাত্রতে পরিণত হওয়া। (খ) ঈমানদারদের প্রতি কোমল ও বিনম্র এবং কাফেরদের প্রতি অত্যন্ত কঠোর হওয়া।
(গ) আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। এবং (ঘ) আল্লাহর ব্যাপারে কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে পরোয়া না করা। সাহাবায়ে কেরামগণ (রাঃ) এই সমস্ত গুণের অধিকারী ছিলেন। যার কারণে আল্লাহ তাঁদেরকে দুনিয়া ও আখেরাতে মহা সৌভাগ্যবান বলে আখ্যায়িত করেছেন।
আর দুনিয়াতেই তিনি তাঁদের প্রতি সন্তুষ্টির সার্টিফিকেট প্রদান করেছেন। ৩) এটা ঐ ঈমানদারগণের ৪র্থ নম্বর গুণ। অর্থাৎ, মহান আল্লাহর আনুগত্য ও হুকুম পালনের ব্যাপারে কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে ভয় ও পরোয়া করবে না। এ গুণটিও বড় গুরুত্বপূর্ণ গুণ।
সমাজে যখন কোন পাপের প্রচলন ব্যাপক হয়ে যায়, তখন তার বিরুদ্ধে এই গুণ ছাড়া নেকীর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকা এবং আল্লাহর বিধানের আনুগত্য করা সম্ভব নয়। সমাজে কত শত এমন মানুষ আছে যাঁরা পাপাচরণ, আল্লাহ-দ্রোহিতা এবং সামাজিক অশ্লীলতা থেকে বাঁচতে চেষ্টা করে,
কিন্তু এই নিন্দুকের নিন্দা ও তিরস্কারের মোকাবেলা করার মত ক্ষমতা তাদের নেই। ফলে পাপের ঐ দলদল হতে বের হতে পারে না এবং হক ও বাতিলের মাঝে পার্থক্য করার মত তওফীকও লাভ করে না। এই জন্যেই পরবর্তীতে আল্লাহ বলেছেন, যাদের মধ্যে এই চারটি গুণ বিদ্যমান আছে তাদের উপর আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।