স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত | স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রীর ভালোবাসা বিবাহর পর ঠিকঠাক থাকে। পরবর্তীতে ছোট ছোট কারনে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি হয়। আর যে কারণ গুলোর জন্য মতভেদ সৃষ্টি হয়, সেই কারণ গুলো আতি সাধারন। একটি হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেন যে স্বামী ও স্ত্রী একে অপরের আয়না সরূপ।
যেমন আমাদের শরীরে কোন নংরা লেগে থাকলে, আয়নার সামনে দাঁড়ালে নোংরা দেখতে পাওয়া যাই। ঠিক অনুরুপ ভাবে স্ত্রীর কোন খারাপ আচরণ দেখলে, স্বামী শুধরে দিবে। আবার স্বামীর কোন খারাপ আচরণ দেখলে স্ত্রী শুধরে দিবে। আর এই ভাবে স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বজায় থাকবে।
আর একটি হাদিসে রাসুল (সাঃ) বলেন - স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে যদি স্বামী বেশী রেগে যাই, তাহলে স্ত্রী যেন চুপ হয়ে যায়। আর যদি স্ত্রী বেশী রেগে যাই, তাহলে স্বামী যেন চুপ হয়ে যায়। এতে ঝগড়া মিটিয়ে যাবে। আর শয়তান কোন হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
রাসুল (সাঃ) বলেন যে - মা হাওয়াকে আদম (আঃ) এর পাঁজরের হাড় থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর এই পাঁজরের হাড়টি হচ্ছে বাঁকা। এর জন্য মহিলারা স্বভাবগত দিক থেকে বাঁকা হয়। তাই স্বামীরা যেন স্ত্রিদেরকে বেশী চাপ সৃষ্টি না করে। কারণ বাঁকা হাড় ভেঙে যাবে, কিন্ত সুজা হবে না। আবার যেন স্ত্রিদেরকে ছেড়েও না দেই, কারণ ছেড়ে দিলে বাঁকা হাড় বাঁকাই চলবে।
এখানে রাসুল (সাঃ) স্বামীদেরকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন যে - স্ত্রিদেরকে বেশী চাপ দেওয়া যাবে না, আবার ছেড়েও দেওয়া যাবে না। স্ত্রিদেরকে সকল ক্ষেত্রে উপদেশ মূলক কথা বলতে হবে। কারণ মহিলারা উপদেশ মূলক কথা পছন্দ করে। এই হাদিস গুলো মেনে চললে স্বামী স্ত্রীর ভালোবাসা বজায় থাকবে।
এই গুলো পড়ুন।