সূরা ইখলাস এর ফজিলত। আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কিত সূরা।

সূরা ইখলাস আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কিত সূরা।

আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কিত সবচেয়ে ভালো সূরা হচ্ছে সূরা আল-এখলাস। এই চারটি আয়াত বিশিষ্ট সূরার মধ্যে আল্লাহ তায়ালা নিজের পরিচয় দিয়েছেন। আল্লাহর পরিচয়ের এই ছোট্ট সূরাটি অর্থসহ দেওয়া হল।

قُلۡ ہُوَ  اللّٰہُ  اَحَدٌ  ۚ﴿۱﴾
বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়।
اَللّٰہُ  الصَّمَدُ ۚ﴿۲﴾ 
আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তাঁর মুখাপেক্ষী।
لَمۡ  یَلِدۡ ۬ۙ  وَ  لَمۡ  یُوۡلَدۡ ۙ﴿۳﴾ 
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাঁকেও জন্ম দেয়া হয়নি।
وَ  لَمۡ  یَکُنۡ  لَّہٗ   کُفُوًا  اَحَدٌ ٪﴿۴﴾ 
আর তাঁর কোন সমকক্ষও নেই।

সূরা ইখলাস এর ফজিলত।  আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কিত সূরা।

এই সূরাটি আল্লাহর পরিচয়ের ক্ষেত্রে পরশপাথর। মহান আল্লাহর পরিচয় জানার জন্য এ সূরা কষ্টিপাথরের কাজ করবে। 

যদি আপনি স্বর্ণালঙ্কার কিনতে অথবা বিক্রি করতে চান, আপনাকে প্রথমে এর মূল্যায়ন করতে হবে। স্বর্ণালঙ্কারের এই মূল্যায়ন করা হয় কষ্টিপাথরের মাধ্যমে। সাকরাই এ কাজটি করেন।

তিনি কষ্টিপাথরের উপর অলঙ্কারটি ঘষেন এবং এর রংয়ের সঙ্গে আসল সোনার রং যাচাই করেন। যদি এটা ২৪ ক্যারেট সোনার সঙ্গে মিলে যায় তাহলে তিনি বলবেন, গহনাটি ২৪ ক্যারেট খাঁটি সোনা। 

যদি এটা পরিপূর্ণ খাটি সোনা না হয়, তাহলে তিনি বলবেন, এটা ২২ ক্যারেট অথবা ১৮ ক্যারেট অথবা বলবেন, এটা আদৌ সোনা নয়। যা চকচক করে তা সবসময় সোনা হয় না।

অনুরূপভাবে সূরা ইখলাস আল্লাহর পরিচয়ের ক্ষেত্রে কষ্টিপাথর যার সাহায্যে যাচাই করা যাবে আপনার আরাধ্য ঈশ্বর সত্য না মিথ্যা। 

সুরা ইখলাসে সর্বশক্তিমান আল্লাহর পরিচয়ের চার আয়াতের সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একমাত্র আল্লাহর পরিচয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য এই আলোকিত চারটি বাক্য। অন্য কোনও উপাস্যের ক্ষেত্রে এই চারটি বাক্য প্রযোজ্য হতে পারে না।


এই আর্টিকেল গুলি পড়ুন।

সংক্ষেপে সূরা ইখলাস এর ফজিলত ও আল্লাহর পরিচয়।

মুসনাদে আহমদে হযরত উবাই ইবনে কা'ব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, মুশরিকরা নবী করীম (সঃ) কে বললোঃ “হে মুহাম্মদ (সঃ)! আমাদের সামনে তোমার প্রতিপালক আল্লাহর পরিচয় বর্ণনা কর।" তখন আল্লাহ তা'আলা আল-এখলাস সূরাটি শেষ পর্যন্ত অবতীর্ণ করেন।

সংক্ষেপে আল্লাহর পরিচয়। (আরবী) শব্দের অর্থ হলো যিনি সৃষ্ট হননি। এবং যার সন্তান সন্ততি নেই। কেননা, যে সৃষ্ট হয়েছে সে এক সময় মৃত্যুবরণ করবে এবং অন্যেরা তার উত্তরাধিকারী হবে। আর আল্লাহ তা'আলা মৃত্যুবরণও করবেন না এবং তাঁর কোন উত্তরাধিকারীও হবে না। 

তিনি কারো সন্তান নন এবং তার সমতুল্য কেউই নেই। (ইমাম তিরমিযী (রঃ), ইমাম ইবনে জারীর (রঃ) ইমাম ইবনে আবী হাতিমও (রঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম তিরমিযী (রঃ) এটাকে সহীহ বলেছেন)

সহীহ বুখারীতে হযরত আবূ সাঈদ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, একটি লোক অন্য একটি লোককে রাত্রিকালে বারবার আল-এখলাস সূরাটি পড়তে শুনে সকালে রাসূলুল্লাহ (সঃ)-এর নিকট এসে এ ঘটনাটি বর্ণনা করেন। 

লোকটি সম্ভবতঃ ঐ লোকটির এ সূরা পাঠকে হালকা সওয়াবের কাজ মনে করেছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁকে বলেনঃ “যে সত্ত্বার হাতে আমার প্রাণ রয়েছে তাঁর শপথ! এ সূরা কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য।”


এই আর্টিকেল গুলি পড়ুন।